প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে জনগণের কল্যাণে কাজ করে। আমরা এটাই করে যাব। যারা বলে কিছু করিনি, তাদের প্রশ্ন করব ১০০ সড়ক এক দিনে, ১০০ সেতু এক দিনে উদ্বোধন আগে কেউ করেছে? করেনি।’

আজ বুধবার সারা দেশে মানোন্নয়ন করা ১০০টি মহাসড়ক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। সরকার যোগাযোগব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়েছে জানিয়ে এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব সময়ই যোগাযোগ ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়েছি।

আধুনিক প্রযুক্তিতে সব ধরনের কাজ আমরা করে যাচ্ছি। স্থানীয়ভাবেও রাস্তাঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে। পায়ে চলা পথগুলোও আমরা উন্নত করে দিচ্ছি।

‘এখন আর স্যান্ডেল হাতে নিয়ে চলতে হয় না। রিকশা, ভ্যান, সাইকেল, মোটরসাইকেল সব চলাচল করতে পারে। সারা দেশের যেকোনো জায়গায় থেকে সড়কপথে ঢাকায় ৬-৭ ঘণ্টায় আসা যায়।’

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের সাধারণ মানুষের উন্নয়নে বিশ্বাস করে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশের মানুষ যেন শান্তি, নিরাপত্তায় থাকতে পারে সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতিটি বাঙালি যেন তৈরি হয়, সেই লক্ষ্য নিয়েই আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরি করেছি। এবার আমরা ই-জনগোষ্ঠী তৈরির কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা খাদ্য নিরাপত্তা, পর্যাপ্ত পুষ্টি, উচ্চশিক্ষা, দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার কাজও আমারাই করছি। এর মাধ্যমেই বঙ্গবন্ধুর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা যাবে।

তিনি বলেন, সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ড্রাইভার ও হেলপারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। চলতে হলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। স্কুল থেকে শিশুদের এ শিক্ষা দিতে হবে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলতে চায় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চাওয়ার ক্ষেত্রে সিদ্ধান্তটা নিতে হবে জনগণকেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের শুনতে হয় আওয়ামী লীগ দেশ ধ্বংস করে দিয়েছে। জানি না, যারা এটা বলে আওয়ামী লীগ কিছুই নাকি করেনি। দেশের মানুষ বিশ্বাস করবে কি না, সেটাই আমার প্রশ্ন।

‘যারা ৩০ বছর ক্ষমতায় ছিল, তারা কী করেছে আর আওয়ামী লীগ কী করেছে, আমি আশা করি দেশবাসী বিবেচনা করে দেখবেন। আমরা বিশ্বাস করি সাধারণ মানুষের উন্নয়ন। গণমানুষ যেন ভালো জীবনযাপন করতে পারে, আমরা সেটা চেষ্টা করি। আমরা দেশের শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে চাই।’

দেশের উন্নয়নে ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছার কথা জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশ গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য। ই-গভর্ন্যান্স, ই-এডুকেশন অর্থাৎ ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে প্রত্যেক ক্ষেত্রে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। এভাবেই আমরা পরিকল্পনা করেছি এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা কী চান।